সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
নেত্রকোনায় ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক’ সেমিনার শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন করে শাহ্ সুলতান বিশ^বিদ্যালয় নামকরণের দাবীতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান মদন ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল। লুৎফুজ্জান বাবরের ২১ শে গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাসে মদনে আনন্দ মিছিল। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি গবেষণায় মনোযোগ দিয়ে হবে            —–অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ  এডভোকেট আলিফ হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার ও উগ্রবাদী ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে   নেত্রকানায় খেলাফত আন্দোলনের  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ মদনে  ৫ ম শ্রেণীর বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষন  যুবকের বিরুদ্ধে মামলা। নেত্রকোণায় সৌদি আরবে ফুড ডেলিভারি কোম্পানীতে লোক নিয়োগে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত  নেত্রকোণায় ঠিকাদার সমিতি গঠন : আজাদুর রহমান সভাপতি ও তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত সাধারন সম্পাদক  হেফাজত ইসলামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন।

মদনে শতাধিক লোকের ভাতার টাকা অন্যের মোবাইলে

শফিউল আলম রানা, মদন, নেত্রকোণা।
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

নেএকোনা মদন সংবাদদাতাঃ নেএকোনার মদনে  নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এজেন্টদের উদাসীনতায় নম্বর ভুল এন্ট্রির কারণে প্রায় দুইশতাধিক ভাতাভোগীদের টাকা চলে গেছে অন্যের মোবাইলে। এ নিয়ে প্রতিদিন  মদন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে ভিড় করছেন ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা।নিজের নামের পাশে অন্যের নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বর এমন অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার সমাজসেবা অফিস ও নগদ এজেন্ট প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। দূরদূরান্ত থেকে ভাতাভোগীরা সমাজসেবা অফিসে আসলেও টাকা ফেরত পাবে কিনা এর কোন সুরাহা করতে পারছেন না অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে সমাজসেবা অফিস বলছে সুবিধাভোগীদের নগদ অ্যাকাউন্ট নগদ এজেন্টের লোকজন করেছেন। এমনকি নিজের নম্বরটি ভুল করে দেয়ার কারণেই হয়তো এমন হয়েছে।

এতে পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রায় দুইশতাধিক বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও তালাকপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের ৬ মাসের ভাতার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গেছে।

সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নে মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৮৯ জন। নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা প্রায় শেষ পর্যায়ে ।

চুক্তি অনুযায়ী নগদ কোম্পানি এন্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বরে ভাতাভোগীদের টাকা পাঠায়। কিন্তু নগদ কোম্পানির এজেন্ট এর লোকজনের উদাসীনতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ওয়েবসাইটে ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বর ভুল এন্ট্রি দেন। ফলে উপজেলার প্রায় দুইশতাধিক ভাতাভোগীর অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের ভাতার টাকা চলে গেছে অন্যের মোবাইল নম্বরে। তবে যে সকল মোবাইল নম্বরে টাকা গেছে সে সব নম্বর বন্ধ দেখাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী বাঘমারা গ্রামের শরিফা আক্তারের মা বলেন, আমার মেয়ে ভাতা পাওয়ার জন্য গ্রামীণ নম্বর দেয়, অফিসে এসে দেখি আমার মেয়ের ভাতা গেছে বাংলালিংক নম্বরে তাও আবার বন্ধ।

দক্ষিণ বালালী গ্রামের প্রতিবন্ধী সেকুল মিয়ার ভাই হানিফ মিয়া জানান, আমার ভাইসহ আরো দুই বাচ্চা প্রতিবন্ধী। তাদের টাকাও চলে গেছে আরেক জনের মোবাইলে। ফোন করলে বন্ধ পাই। কিভাবে এর সমাধান হবে তাও জানি না।

এদিকে বয়স্ক ভাতাভোগী কাইকুড়িয়া গ্রামের কল্পনা আক্তার, আব্দুল বারেক, উষারানী বিশ্বশর্মা ও কেশজানি গ্রামের আঙ্গুরা আক্তার জানান, আমরা যে অফিসে নম্বর দিছি এই নম্বরে কোন টাকা আইছে না। অফিসে আইয়া দেহি টাকা গেছে গা আরেক জনের মোবাইল নম্বরে। সরকারের দেয়া এই ভাতার উপর চাইয়া তাহি। অফিসে কয়েক দিন ধইরা আইতাছি কোন সমাধান হওইতাছে না। সামনে ঈদ ভাতা না পাইলে কেমনে ঈদ করব? যারার ভুলে এমনটা হইছে তারাই আমরারে টাকা দিতে হইবে।

তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আহমেদ জানান, নগদ এজেন্ট নিয়োগ করেছে সমাজসেবা অফিস। এজেন্টরাই মূলত এমন কাজটি করেছে। আমার ইউনিয়নে বেশ কয়েকজন ভাতাভোগীর এমন সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি সমাজসেবা অফিসে জানিয়েছি।

কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল জানান, এ কাজটি করেছে মূলত একটি চক্র। আমার ইউপি সচিবকে সমাজসেবা অফিসে পাঠিয়েছিলাম। অনেকের টাকা অন্যের মোবাইলে চলে গেছে বিষয়টি সমাধান করার জন্য সমাজসেবা অফিসকে অবগত করা হয়েছে।

ভাতা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহজামান আহমেদ বলেন, নগদের অফিসের লোকজন এমনটি করেছে। যে ভুল নম্বরগুলোতে টাকা গেছে কিন্তু বন্ধ রয়েছে ওই নম্বরগুলো পেরোল দেয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরত আসবে, দিতে পারব। আর যে নম্বরের টাকা উত্তোলন করেছে, সেটার কিছু করতে পারব না। এ নিয়ে প্রথম পর্যায়ে অনেক জটিলতা থাকবে। সারা দিন কাজ করছি। ভুলে যাদের টাকা চলে গেছে তাদের বিষয়টি নগদের অফিসে ও আমাদের নেত্রকোনা অফিসে প্রেরণ করেছি। দেখা যাক কি করা যায়।

মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, টাকা না পাওয়া কয়েকজন ভাতাভোগী আমার অফিসে এসেছিল। তাদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি কিভাবে সংশোধন করা যায় প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলব এবং নগদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সামাধানের চেষ্টা করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin