নেত্রকোনার মদনে মৎস্যজীবী সমিতির অডিটের নামে অধিক অর্থের বিনিময়ে অসচ্ছল মৎস্যজীবী সমিতি সচ্ছল হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সমবায় সহকারী কর্মকর্তা কৃপেশ তালুকদারের নামে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মদন উপজেলায় ৪১ টিরও বেশি মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে নামে বেনামে। কিন্তু তার মধ্যে বেশির ভাগের নেই কোন অস্তিত্ব।কিন্তু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অস্তিত্বহীন সমিতি গুলো রাতের আঁধারে হয়ে যায় সচ্ছল। সেইগুলো আবার উপজেলার বিভিন্ন জলমহল ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদনও করছেন।
উপজেলার মদন ইউনিয়নের বৃ-বড়ি কান্দি গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বি-বড়িকান্দি মৎস্যজীবী, সমিতির নামে কোন মৎস্যজীবী সমিতির অস্থিত্ব নেই। সমিতির নেই কোন মৎস্যজীবী সমিতির ঘর ও সাইনবোর্ড ।
অনেক সময় খোঁজাখুঁজি করার পর সমিতির ঘর খুঁজে না পেয়ে সমিতির সভাপতি সত্যরঞ্জন দাস কে ফোন করে সমিতির ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একটি জরাজীন্য গোয়ালঘর কে সমিতির ঘর হিসেবে দাবি করেন।
কিন্তু সেখানে কোন মৎস্যজীবী সমিতির সাইনবোর্ড দেখতে না পেয়ে সাইনবোর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণাৎ ঘর থেকে এনে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।
এ সময় সমিতির সদস্যদের নামের তালিকা, রেজুলেশনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন কিছুই দেখাতে পারেনি।
কি করে অডিট হয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সমবায় অফিসের কৃপেশ তালুকদারকে ৯০০০ টাকা দিয়ে অডিট করিয়ে নিয়ে এসেছি।
টাকা দেওয়ার জন্য আপনাকে কোন ভাউচার বা কাগজ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে, কোন কাগজ দেননি বলে জানান ,তিনি সত্য রঞ্জন দাস।
এছাড়াও আরও কয়েক টি সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বললে নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারা বলেন, আমাদের সমিতি গুলোরও অডিট করাতে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো করে প্রতি সমিতিকে দিতে হয়েছে সমবায় অফিসের কৃপেশ তালুকদার কে।
টাকা না দিলে, আমাদের সমবায় সমিতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ও ভয় দেখান তিনি পরে আর কি করবো টাকা দিয়ে অডিট করিয়েছি।
টাকার বিনিময়ে অসচ্ছল সমবায় মৎস্য সমিতি সচ্ছল করিয়ে দেন,উপজেলা সমবায় সমিতির সহকারী কর্মকর্তা কৃপেশ তালুকদার, এ বিষয়ে, কৃপেশ তালুকদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অডিটের জন্য কোন টাকা পয়সা লাগে না।
বি-বড়ি কান্দি মৎস্যজীবী সমিতি সহ কয়েকটি সমিতির থেকে অডিট নামে ৫ থেকে ২০ হাজার করে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি বলে তাকে তাহলে তাকে আমার সামনে নিয়ে আসেন, আমি কত টাকা নিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অডিটের জন্য কোন টাকা পয়সা নেয়া হয় না, মৎস্যজীবী সমিতির লোকজনের কাছ থেকে।
তবে কোন সমিতির যদি তাদের কাজ করাতে না পারে ,তাহলে আমার সহকারি তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে কাজ করিয়ে দেন অন্যজন দিয়ে।
মোঃ আংগুর রহমান ভূইয়া
মোবাইল ০১৯০৫৩৪০২৭২
তাং ০৪/০৩/২৪ ইং