নেত্রকোনার মদনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতীকী ছবিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সরকারি-বেসরকারি দলীয় বিভিন্ন সংগঠন ।প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মদন উপজেলা প্রশাসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ,ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা উম্মে সালমা, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান একলাছ, খালিয়াজুরী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ,তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৯৭৫ সালের এই কালরাতে। এ দিন গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য। সেদিন রাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বুক।
অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের। গুলি চালিয়েছে খুনে চাহনীতে।
সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল।
খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনও অপতাৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে কোনও বাঙালি তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না বলে দৃঢ়বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু। সেজন্য তিনি গণভবনের পরিবর্তে থাকতেন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে। যে বাড়িটি বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন।
মদন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ এ প্রতিনিধিকে বলেন , আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ও সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।