নেত্রকোনার মদন মাঘান ইউনিয়নের পল্লীতে ৫ বছরের এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার হেদায়েতুল্লাহ(১০) এবং রিয়েন (১১)নামের ২ শিশুকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
গত বৃহস্পতিবার ওই শিশুটিকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী পারিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করার সময় একই গ্রামের দুই শিশু বাড়ির পরিত্যক্ত আরেকটি ঘরের পাশে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় শিশুটি ডাকচিৎকার প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ঘটনা মীমাংসা করবে বলে মাতাব্বরগণ মেয়ের অভিভাবকদের আশস্ত করেন। পরে রাতে অভিভাবকগণ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খবর পেয়ে মদন থানার পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে হেদায়েত উল্লাহ ( ১১) হারুলের ছেলে রিয়েন (১০)কে থানায় নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য।
এ ঘটনা রিয়েনের বাবা হারুল মিয়া জানান, এরা উভয়েই শিশু। খেলার ছলে টানা হেছরা করছে তবে অন্য কিছু করার বয়স তাদের হয়নি। চিকিৎসার দায়ভার আমরা নিয়েছি মেয়ের বাবা ময়মনসিংহ থেকে বাড়িতে আসতেছে বাড়িতে আসলে আমরা টাকা পয়সা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলব।
এ ঘটনায় মদন থানায় এসআই সামিউল হায়দার বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন মিলে হেদায়েতুল্লাহ এবং রিয়েন নামের দুই ছেলেকে আটক করে রাখে পরে দুজনকেই থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুই শিশুকে এঘটনায় জড়িত থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল খেলার চলে এ ঘটনা ঘটেছে বাদী এবং বিবাদী লিখিত দেয় যে তারা কোন মামলা করবে না এই মর্মে ছেড়ে দেওয়া ।