নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো দোতলা ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে আছে, ফাটল ধরেছে ভবনের পিলারে। যা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।স্থানের স্বল্পতার কারণে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের টিকা, ও করোনা টিকা জরুরী বিভাগ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলছে।
২৩ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো ভবনে রডের ফিলার ফেটে সিমেন্ট পড়ে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে চলছে সেবা কার্যক্রম।
এ ভবনের নিচতলা এসব কক্ষে জরুরি বিভাগ, ঔষুধ,মালামালের গুদাম, শিশুদের দেখার স্থান এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কর্মকর্তার কার্যালয় রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যালয় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে। ছাদের একাধিক স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। সেখান থেকে জং ধরা রড দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থা সম্পূর্ণ ভবনের।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আর এম ও ডাক্তার এ কে এম রিফাত সাঈদ তিনি এ প্রতিনিধি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাক্তার নুরুল হুদা খান তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মৌখিকভাবে এ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়ছে।কিন্তু লিখিত কোন পেপারস এখনও পাইনি।জায়গার স্বল্পতার কারণে জরুরি বিভাগ এবং কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে, সেটাই আশঙ্কা করছি।লিখিত পেপার পেলে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
করুনা টিকা ও শিশুদের টিকা চিকিৎসা নিয়ে ফিরছিলেন, এমন অনেকেই বলেন, যে ভবনে টিকা এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে,এই ভবন সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ।কখন যে ভেঙে পড়বে তা বলা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা, কর্মচারী চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সহ আতঙ্কে আছে, এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা চিকিৎসা বিশিষ্ট পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এবিষয়ে জানতে চাইলে, নেত্রকোনা গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসিনুর রহমান তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, জায়গা স্বল্পতার কারণে, জরুরি বিভাগ, টিকা কার্যক্রম চালু আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণ কার্যক্রম।ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে আবার চিঠি দিয়ে কর্তৃপক্ষকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণর বিষয়টি জানাব।