মাজার পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে
প্রতিপক্ষের হামলা ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ইন্নছ আলীর পুত্র ফজলু মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের সোহেল রানা, সোহাগসহ ১২ জনকে আসামী করে গতকাল এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, বতর্মান ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্পাদক সাইদুর রহমান কাজলের জায়গাতে অবস্থিত ভাগ্যশাহ্ নামক একটি মাজার রয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়র রহমান মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, জহিরুল ইসলাম মিন্টু সম্পাদক ও সাইদুর রহমান কাজল কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে
থাকা কালীন সময়ে মাজারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসায় দিন দিন এর ভক্ত ও আশেকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাজারের আয় উপার্জন বৃদ্ধি পাওয়ায় এর উপর দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের স্থানীয় বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত নয়ন
মন্ডলের। তারা গ্রামের লোকজনকে নিয়ে একটি মাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করে। পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মাজারের দখল নিয়ে পরিচালনা শুরু করে। এতে বাঁধা দেয়ায় তারা চরম ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের ধরে সোহেল রানা, সোহাগ গংরা দেশীয়
অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে রঘুনাথপুর বাজারের শুভ মার্কেটের সামনে গত ২৪ জুলাই রাত ৮টার দিকে মাজার পরিচালনা কমিটির সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টুসহ তার লোকজনের উপর হামলা চালায়। পতিপক্ষের হামলায় মিন্টু, আল মামুন, আঞ্জু মিয়া ও হাসিবুল ইসলাম জুয়েল মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার
করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ফজলু মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের সোহেল রানা, সোহাগসহ ১২ জনকে আসামী করে গতকালএই মামলাটি দায়ের করেছেন। কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ্ নেওয়াজের সাথে যোগযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।