নেত্রকোনার মদনে দাখিল মাদ্রাসার বাউন্ডারির ভেতরের জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি তুলে বিক্রি করায় বুলবুল মিয়া (৫০) এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দাতা কমিটির সদস্য এমদাদুল ইসলাম ও দুলাল মিয়া নামের দুই ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযুক্ত বুলবুল মিয়া উপজেলা কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুড়িয়া গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কমিটির কিছু লোকজনের অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি বন্ধ ও পরিতক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মাদ্রাসা বন্ধ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এ সুযোগে গ্রামের অসাধু কিছু ব্যক্তির পরামর্শে বুলবুল মিয়া মাদ্রাসার জমি দাতাদের নিষেধ অমান্য করার পরও তাদের কথা তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক ভাবে একটি ভেকু নিয়ে এসে মাদ্রাসার সামনে সমতল ভূমি থেকে মাটি উঠিয়ে লরি গাড়ি দিয়ে অন্যত্র হাজার হিসেবে বিক্রি করে দেয়।
এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান জানান, আমি শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি নিয়ে দায়িত্বভার অর্পণ করা হয় মোঃ বরকতউল্লাহ জুয়েলের কাছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল মিয়ার কাছে মাদ্রাসার মাটি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান, এবং সাক্ষাতে আপনাদের সাথে কথা হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরকতুল্লা জুয়েল তিনি বলেন, মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন বন্ধ পুনরায় মাদ্রাসা চালু করা হবে খবর শুনে বুলবুল ও লিটন মেম্বার দ্রুত ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি করে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বারি এ বিষয়ে জানান, মাদ্রাসাটি সরকারি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।