বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কেন্দুয়ায় সরকারি খাল দখল নিয়ে উত্তেজনার অবসান কেন্দুয়া সরকারি কলেজ সমাচার আটপাড়ায় পিঠা উৎসব: তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়  জিসাস এর নতুন কমিটি গঠন নেত্রকোনায় ডিএনসি’র অভিযানঃ ৫ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক নেত্রকোণায় আঃ লীগ নেতা লক্ষীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন গ্রেফতার  নেত্রকোনা উলুয়াটির গোলাম মোস্তফার ক্রয়কৃত জায়গা দখলের পাঁয়তারা কুচক্রী মহলের, চারাগাছ কর্তন – নারীকে মারধর বাবরের মুক্তিতে দেলোয়ার হোসেন ভূঞার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল গৌরীপুরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কবি ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ্জাহান এর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড প্রপ্তি।

মৈমনসিংহ-গীতিকা প্রকাশের শতবর্ষে চন্দ্র কুমার দে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের দাবী

স্টাফ রির্পোটার সুপক রঞ্জন উকিল
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে
উভয় বাংলাসহ ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ প্রকাশের শতবছর উদযাপন -২০২৩ এর মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ( ২৪ নভেম্বর হতে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩) শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শহরে অবস্থিত ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশনের অফিস কক্ষে এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে  ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র উপর লেখার প্রাধান্য দিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড এর আয়োজনে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স-২০২৩’ ম্যাগাজিনের প্রস্তুতি এবং ১৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ, গৌরীপুরে বিজয়কান্ত জমিদারবাড়ির পাশে ‘চন্দ্র কুমার দে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ স্থাপনের দাবী এবং বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২০ ও ২০২২ এর ১৮ গুনীজনকে অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি।

দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ডের ভাইস- প্রেসিডেন্ট ও সুপারিন্টেনডেন্ট (অব.) সরকারি টিভিআই  ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর  সভাপতিত্বে এবং গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটনের সঞ্চালনায় সভায়  উপস্থিত ছিলেন দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার, গৌরীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক পলাশ মাজহার, কবি নূরুল আবেদীন, সাংবাকি মোহাম্মদ সাইফুল আলম, সুপক রঞ্জন উকিল, ঝিন্টু দেবনাথ, লুৎফর রহমান খোকন, মো. রমজান আলী মুক্তি, পলাশ  প্রমুখ।

 উল্লেখ্য যে, স্বাগত বক্তবে ইতিহাস সন্ধানী ও গবেষক  মো. রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, গৌরীপুরে ১২টি জমিদারবাড়ি মধ্যে একটি জমিদারবাড়িতে চাকরি করতেন চন্দ্র কুমার দে। কোন জমিদারবাড়িতে চাকরি করতেন তা জানা যায়নি। কেদারনাথ মজুমদারের সহযোগিতাতেই গৌরীপুরের কালীপুর এস্টেটের জমিদার বিজয় কান্ত লাহিড়ীর অধীনে মাসিক আট টাকা বেতনে তহশিলদারের চাকরি হয় তার। চাকরির সুযোগে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ আরও বেড়ে যায় তার। কিন্তু গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে তহশিলের বদলে তিনি লিখে আনতে লাগলেন পল্লীর গায়েনদের গাওয়া উপাখ্যান। ফলে এই চাকরিটিও তাকে হারাতে হয়। বর্তমান প্রজন্ম জমিদারির সঠিক ইতিহাস কেউ জানে না। কালীপুরের ইতিহাস (পর্ব-২): কালীপুর বড়তরফ জমিদারবাড়ির ইতিকথা” শিরোনামে প্রকাশিত হলে জমিদার বিজয়কান্ত লাহিড়ীর বাড়ির তথ্য পাওয়া যায়। বিজয়াকান্তের জমিদারবাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বিআরডিবি অফিস, পুরাতন মন্দিরের দক্ষিণের বাড়িঘর কোয়ার্টার বা লিজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রাহক চন্দ্র কুমার দে’র স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জমিদার বিজয়কান্ত লাহিড়ীর বাড়িসহ পতিত জায়গাটি অধিগ্রহণ করে চন্দ্র কুমার দে সংস্কৃতিক কেন্দ্র বা প্রত্ন বিষয়ক কেন্দ্র স্থাপনের দাবী করলে তা সম্ভব হবে। ফলে এক সময়ের প্রাণচাঞ্চল্যে ঐতিহাসিক নিদর্শন এই বাড়িটি দেখার জন্য  খুব বেশি বেশি পর্যটক আসবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin