নেএকোনা মদন উপজেলার নায়েক পুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও মরহুম আঃ কাদির ভুঁইয়া ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফেরদৌস ভুইঁয়ার ছোট ভাই কদ্দুছ ভুইঁয়া তার পৈতৃক ৯.৭৫ শতাংশ জমিতে ঘর করতে গেলে তার চাচাতো ভাই স্কুল কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘর করতে বাঁধা দেন।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস ভুইঁয়ার ছোট ভাই কদ্দুছ ভুইঁয়া বলেন, আমার পৈতৃক জমির উপর ১৭ বছর ধরে বসত বাড়ি ও পাশে চায়ের দোকান করে আসছি ইদানিং ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় নতুন করে ঘরটি করতে গেলে আমাকে বাঁধা দেয় আমার চাচাতো ভাই স্কুল কমিটির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়া। ঘর ভেঙ্গে আমি পড়েছি বিপদে ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকার জায়গা নাই আছি অন্যের ঘরে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন, স্কুলের জায়গার দাতা হলো মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়ার পিতা মরহুম আঃ রশিদ ভুইঁয়া,এখানে কদ্দুছ ভুইঁয়ার ঘরে বাধা দেওয়া ঠিক হয়নি, কদ্দুছের ঘরের সাথে স্কুলের জায়গায়ার কোন সম্পর্ক নাই , এলাকাবাসী বলেন, স্কুলের সভাপতি ১০ শতাংশ পুকুর জমা দিয়ে ১০বছর ধরে টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। এলাকায় দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়া।
ঐ এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি তহুর (মাষ্টার) বলেন, স্কুলের জায়গায় ৩ দাগে জমি দিয়েছে মরহুম আঃ রশিদ ভুইঁয়া, এর মধ্যে ২০৪২ দাগে ১৮ শতাংশ জমির মালিক ৭ অংশে বিভক্ত যার ৪ অংশের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস ভূঁইয়ারা, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসত বাড়ি করে আছেন কদ্দূছ ভুইঁয়া । স্কুলের জায়গায় নিয়ে সমস্যা থাকলে আছে স্কুল কমিটির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিনের সাথে।গত ১৩ আগস্ট শুক্রবার সারা গ্রাম নিয়ে সালিশের মাধ্যমে গ্রামবাসীকে বলেছেন, স্কুলের জায়গায় আগামী ১৭আগষ্ট মঙ্গলবারে বুঝিয়ে দেবেন মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়া।
নোয়াঁগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, ১৯৭৩ সালে এই স্কুলটি স্থাপিত হয়েছে। দাতা মরহুম আঃ রশিদ ভুইঁয়া তিন দাগে মোট ৫০ শতাংশ জমি স্কুলের নামে দলিল করে দিয়ে গেছেন, কিন্তু আজও পর্যন্ত স্কুলের জায়গায় বুঝিয়ে দেয়নি তাঁর ছেলে বর্তমান স্কুল কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়া, ৪ শতাংশ জমিতে আছে স্কুলটি, শিক্ষার্থীদের জন্য নাই কোন খেলাধুলার জায়গা।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম এপ্রতিনিধিকে বলেন, গত১৩ আগষ্ট রোজ শুক্রবার সারা গ্রাম নিয়ে সালিশ হয়,উক্ত সালিশে কথা দিয়েছেন মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়া আগামী ১৭আগষ্ট রোজ মঙ্গলবার স্কুলের জমি বুঝিয়ে দিবেন ইউএনও অফিসে গিয়ে, আমরা গ্রামবাসী ওঅপেক্ষায় আছি ।
অভিযুক্তঃ স্কুল কমিটির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন ভুইঁয়া বলেন, ৩ দাগে জমি দেওয়া স্কুলে, ২০৪২ দাগে আমার চাচাতো ভাইয়ের অংশে তার পিতা- মাতার কবরস্থান নিয়ে মোট জমি পাবে ৪. ৫০ শতাংশ, স্কুলের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর তার জমিও বুঝিয়ে দিব এজন্য ঘর করতে বাধা দিয়েছি। স্কুলের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার পিতা জমি দাতা, মরহুম আঃ রশিদ ভুইঁয়া গ্রামের উন্নয়ন ও ছেলে মেয়েদের শিক্ষার কথা চিন্তা করে, এই গ্রামে স্কুলটি হোক, এই ভেবে ৩ দাগে ৫০ শতাংশ জমি দলিল করে দিয়েছেন, কিন্তু ৩ দাগে ৫০ শতাংশ জমি আমাদের নাই, কি করে বুঝিয়ে দিব ।টাকা আত্মসাৎ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি স্কুলের কোন টাকা আত্মসাৎ পূর্বেও করিনি ভবিষ্যতেও করব না এসব মিথ্যা সাজানো কথা।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন তিনি বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে তারপর আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমদ তিনি বলেন,সরকারি স্কুলের নামে দলিল এই জমি যার দখলেই থাকুক না কেন ছেড়ে দিতে হবে।