সরকার যেখানে তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বানে অধিক করারোপ সহ নানা সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। সেখানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে অভিনব উপায় অবলম্বন করতে দেখা গেছে ‘আবুল বিড়ি’র কর্মকর্তা ও বিক্রয় প্রতিনিধিদেরকে। ভোক্তা তৈরী তালিকায় বাদ যায়নি নারী ও শিশুরাও!
১৮ আগষ্ট (বুধবার) সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বধলা উপজেলার ত্রিমোহনী (তেমনী) বাজারে প্রকাশ্য লোকজন জড়ো করে ধূমপানে উৎসাহিত করতে লটারির মাধ্যমে নিশ্চিত পুরস্কারের প্রলোভনে বিড়ি বিক্রয় ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে ‘আবুল বিড়ি’ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি দল।
এসময় ২ প্যাকেট বিড়ি কিনলে লটারির মাধ্যমে নিশ্চিত পুরস্কার সাবান, চকলেট, প্লাস্টিকের মগ, জগ, বালতিসহ নানা পুরস্কারের প্রলোভনে বিড়ি কিনতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে নারী, পুরুষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ ভীড় করছে বিভিন্ন বয়সী ধূমপায়ী এবং উৎসুক জনতা। এসময় নারী ও শিশুদেরকেও বিড়ি কিনতে দেখা যায়।
সেলস্ অফিসার পরিচয়দানকারী মামুন নামের একজন বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই এভাবে লটারি ও পুরস্কারের মাধ্যমে ‘আবুল বিড়ি’ বিক্রিয় ও প্রচারণা চালাচ্ছে তারা। উপর মহলের নির্দেশনা মেনেই এসব প্রচারণা চলছে।
পূর্বধলা উপজেলায় ‘আবুল বিড়ি’র আঞ্চলিক শাখা রয়েছে। সেখানেই তারা কর্মরত আছেন বলে জানান।প্রতিদিনই পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০৫ সনের ১১ নং আইনের ধারা ৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কিত বিধান- ১ এর ‘গ’ অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বা ব্যবহারে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে কোনো দান, পুরস্কার, বৃত্তি প্রদান বা কোনো অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার/স্পনসর করা নিষিদ্ধ।
কাস্টমস নেত্রকোণা’র রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ এজাজুল হক জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বিড়ি সিগারেট, জর্দা, গুল সহ সকল তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ । তবে আইন অমান্যে ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন তথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান, জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আব্দুর রহমান।