বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
মদনে ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে থানায় মামলা। নেত্রকোনায় ঈদ জামাতে হামলা, আহত ৮ মদন বাসী কে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউএনও মোঃ অলিদুজ্জামান। খেলার মাঠের বল বাড়িতে যাওয়ায় সংঘর্ষ, বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান,বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ নেত্রকোনায় চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন ইতিহাস: দেশসেরা গৌরীপুরের তাহমিন ইসলাম আদিব মদন পৌরসভা অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জলবদ্ধতা ভুগছে পৌরবাসী। নেত্রকোনার দূর্গাপুরে ১৩০ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই ব্যবসায়ী আটক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫: তথ্য সহায়তা কেন্দ্র চালু করেছে ছাত্রশিবির

মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শালীহর ট্রাজেডি পালন

সুপক রন্জন উকিল, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১
  • ৩১০ বার পড়া হয়েছে
১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শালীহর গ্রামে পাকবাহিনীর গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় শালীহর বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক খান, নুরল হক, প্রদীপ বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবুল ফজল আজাদ মুহাম্মদ হীরা, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সভাপতি মশিউর রহমান কাউসার, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র, এসো গৌরীপুর গড়ির স্বমন্বয়কারী আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি প্রমুখ।
আলোচনাসভা শেষে শালীহর গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ২১ আগস্ট ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শালীহর গ্রামে পাকবাহিনীর গণহত্যায় ১৪ জন শহীদ হন।  সেদিন পাকবাহিনীর ভয়ে হিন্দু পরিবারের সদস্যরা শহীদদের মৃতদেহ সৎকার করতে না পেয়ে মাটিতে পুতে রেখেছিল। আর শহীদ পরিবারগুলোর অভিযোগ, তারা মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ তাদের খোঁজ নেয় না।
শহীদ জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর এর নাতনী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  অমল কান্তি কর জানান, পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে তার ঠাকুদা জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর এবং ঠাকুদার ভাই মোহিনী মোহন করকে। প্রাণ ভয়ে জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর-এর ছেলে বাদল চন্দ্র কর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় চলে আসেন। সেখানে তিনি পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin