শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
আটপাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চুরি, দিশেহারা চালক কেন্দুয়া পৌরসভার কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন নেত্রকোণায় বাউল সম্রাট রশিদ উদ্দিনের ১৩৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “বাউল উৎসব” বাস্তবায়নে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে আটপাড়ায় আনন্দ মিছিল নেত্রকোণা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ  নেত্রকোনায় চারু ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন(সিডিএ) শীতবস্ত্র বিতরণ কেন্দুয়ায় সরকারি খাল দখল নিয়ে উত্তেজনার অবসান কেন্দুয়া সরকারি কলেজ সমাচার আটপাড়ায় পিঠা উৎসব: তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়  জিসাস এর নতুন কমিটি গঠন

মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শালীহর ট্রাজেডি পালন

সুপক রন্জন উকিল, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১
  • ২৬৯ বার পড়া হয়েছে
১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শালীহর গ্রামে পাকবাহিনীর গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় শালীহর বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক খান, নুরল হক, প্রদীপ বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবুল ফজল আজাদ মুহাম্মদ হীরা, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সভাপতি মশিউর রহমান কাউসার, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র, এসো গৌরীপুর গড়ির স্বমন্বয়কারী আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি প্রমুখ।
আলোচনাসভা শেষে শালীহর গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ২১ আগস্ট ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শালীহর গ্রামে পাকবাহিনীর গণহত্যায় ১৪ জন শহীদ হন।  সেদিন পাকবাহিনীর ভয়ে হিন্দু পরিবারের সদস্যরা শহীদদের মৃতদেহ সৎকার করতে না পেয়ে মাটিতে পুতে রেখেছিল। আর শহীদ পরিবারগুলোর অভিযোগ, তারা মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ তাদের খোঁজ নেয় না।
শহীদ জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর এর নাতনী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  অমল কান্তি কর জানান, পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে তার ঠাকুদা জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর এবং ঠাকুদার ভাই মোহিনী মোহন করকে। প্রাণ ভয়ে জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর-এর ছেলে বাদল চন্দ্র কর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় চলে আসেন। সেখানে তিনি পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin