কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানাধীন নাটালের মোড় থেকে ১০ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা পাচারকালে ০৩(তিন) মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প। ০১টি প্রাইভেটকার জব্দ।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, ধর্ষণ, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন নাটালের মোড় এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ আমান (৫০) (ড্রাইভার), পিতা-মোঃ রৌশন আলী, সাং-দেউস, ২। মোঃ আবু তাহের(৪৫), পিতা-মৃত আঃ মালেক, সাং-কল্পবাস, ৩। মোছাঃ জাহানারা (৫০), স্বামী-মৃত মানিক মিয়া, সাং-দেউস, সর্বথানা- ব্রাহ্মণপাড়া, জেলা- কুমিল্লাদেরকে আটক করেন। এ সময় ধৃত আসামীদের দখলে থাকা ০১টি প্রাইভেটকার তল্লাশী করে (ক) ১০(দশ) কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা (খ) ০৩টি মোবাইল ফোন, (গ) 0১টি প্রাইভেটকার, (ঘ) নগদ ৩৫,০০০/- টাকা উদ্ধার করতঃ জব্দ করা হয়।ধৃত আসামীগন দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মাদক কারবারী চক্রের সদস্য।উক্ত আসামীগণ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করতো। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব এর এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামীদের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় মামলা দায়ের পূর্বক হস্তান্তর করা হয়েছে