দারিদ্র্যের সর্বগ্রাসী বাধা অতিক্রম করে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারকারূ দ্রুততম মানব ল কেন্দুয়ার মো. নাসিম এর পাশে সহযোগিতার আশ্বাস নিয়ে মায়ের মমতায় পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল। রবিবার দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর সদরের নিজ বাসভবন উকিলবাড়ীতে নাসিমকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি মায়ের মমতায় সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন দিয়েছেন অপু উকিল।
এ সময় তিনি নাসিমের পরিবার পরিজনের সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেরা হওয়ার জন্য উৎসাজ অণু প্রেরণ প্রদান করেন।
এ সময় অধ্যাপক অপু উকিল নাসিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন-তোমার যে কোন প্রয়োজনে সরাসরি আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে জানাবে,আমি তোমার প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট থাকবো।
উল্লেখ্য,কেন্দুয়া উপজেলার মজলিশপুর মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হন নাসিম।
জানতে চাইলে নাসিম বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১ ও ২ এপ্রিল ঢাকার মিরপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আমি ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার দৌড়ে অংশ গ্রহণ করে দুটিতেই প্রথম স্থান অর্জন করে দ্রুততম মানব হয়েছি। আমাকে গোল্ড মেডেল ও প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক কেএম আলী রেজা। প্রধান অতিথি স্বর্ণের মেডেল ও প্রাইজমানি নাসিমের হাতে তুলে দেন। গত বছর ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শহিদ শেখ রাসেল ৩৭তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিস অনূর্ধ্ব/১৭ প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটারে দ্রুততম মানব এবং ২০০ মিটারেও প্রথম স্থান অর্জন করে দেশসেরা খেতাব, স্বর্ণের মেডেল ও সনদপত্র পেয়েছিল।
নাসিমের পিতা নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের হাঁস-মুরগি বিক্রেতা বাবুল ইসলাম বাদল যুগান্তরকে জানান, আমার দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে নাসিম মেঝ। সে ছোট বেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী। আমার আর্থিক অসচ্ছলতা কারণে তাকে খেলাধুলার উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি নাই। কিন্তু আমার ছেলে নাসিম অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতিটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে চলেছে। নাসিমের মা জুবেদা আক্তার জানান, আমার নাসিম কোনো প্রশিক্ষক ছাড়াই একক প্রচেষ্টায় ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যস্ত উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে দ্রুততম মানব খেতাব অর্জন করে এবার দেশসেরা হয়েছে।