“বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশকে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু অস্ত্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে শিশু ধর্ষণের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সর্বস্তরের জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
ভিকটিম ও রিমা আক্তার একই গার্মেন্টস ফ্যাক্তরিতে চাকুরী করত। সেই সুবাদে, রিমা আক্তার তার ছোট বোনের বিয়েতে বান্ধবীকে (ভিকটিমকে) আমন্ত্রন জানায়। এরই প্রেক্ষিতে, ভিকটিম গত ২৭/১০/২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় বান্ধবীর বোনের বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা হতে কলমাকান্দা থানাধীন পাবই মোড়ে এসে নামে। বাস চলে যাওয়ার পর ভিকটিম বান্ধবীর বাড়ী কুতিগাও যাওয়ার জন্য অটোরিক্সা ভাড়া করে। আসামী মোঃ আপেল মিয়া অটোরিক্সা চালক পথিমধ্যে অন্য আরেক আসামী চান মিয়াকে অটোরিক্সাতে উঠায়।
পরবর্তীতে, আসামীরা ভিকটিমকে কুতিগাও না নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে গত ২৭/১০/২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় সালেঙ্গা গ্রামে আসামী মোঃ আপেল মিয়ার বসত ঘরে খাটের উপর ভিকটিমকে খুন করার ভয় ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ৬/৭ জন মিলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে ঘরের ভিতর রেখে কিছুক্ষনের জন্য বাইরে গেলে ভিকটিম ফোন করে বান্ধবীকে ঘটনাটি জানায়। ভিকটিমের বান্ধবী রিমা আক্তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গত ২৮ অক্টোবর,২০২২ খ্রি তারিখ সময় ০১.৩৫ ঘটিকায় কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধন /২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৮/০২/২০২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় নেত্রকোনা জেলার সদর থানাধীন মদন বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে আসামী মোঃ চান মিয়া (৩৩), পিতা- মোঃ সিরাজ আলী, গ্রাম- হাতে সালেঙ্গা, থানাঃ কমলাকান্দা, জেলাঃ নেত্রকোণা’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার মাধ্যমে কোন নারী/শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার না হয় সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।