নেত্রকোনা সদর উপজেলার ৭নং কাইলাটি ইউনিয়নে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে নাজমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা করেন খাসকান্দী গ্রামের মোঃ ইসলাম উদ্দিনের দুই পুত্র মোঃ মাকারুল (২৪) ও নাজমা আক্তারের স্বামী মোঃ সাদির উদ্দিন (২৬)।
নাজমা আক্তার জয়সিদ গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার কন্যা। নাজমা আক্তার বলেন আমাদের দুটি পরিবারের সম্মতি অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বাবা, মা বিয়ে দিয়েছিল সুখের জন্য এখন এসে পড়েছি দুঃখের সাগরে। বিগত ৪ বছর ধরে আমার স্বামী মোঃ সাদির উদ্দিন বাবার বাড়ি থেকে কেন মোটা অংকের টাকা এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র এনে দেই নাই সেজন্য আমাকে বিভিন্নভাবে মারধোর ও গালিগালাজ করে আসছিল। কিন্তু (২২জুন) আমার স্বামী সাদির উদ্দিন ও আমার ছোট দেবর মোঃ মাকারুল আমার নিজ ঘরে দরজা আটকে যৌতুকের টাকার জন্য আমার শ্বরীরে আঘাত করে ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায় । আমি প্রাণ বাঁচাতে জোরে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি ।
পরবর্তীতে বাড়ির পাশে থাকা আমার মামা চিৎকার শুনে আমাকে আবদ্ধ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে বলে জানায় গৃহবধূ নাজমা আক্তার। নাজমা আক্তারের পরিবারের দাবি স্বামী নামক এই জল্লাদের হাত থেকে তাদের মেয়েকে বাঁচাতে চায়। যেকোনো মুহূর্তে এই জল্লাদের হাতে হারাতে হতে পারে তাদের মেয়ে নাজমা আক্তারের প্রাণ। আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন নাজমা আক্তার ও তার পরিবার।