মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
নেত্রকোনায় হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত কেন্দুয়ায় খোদেজা মিরাজ দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্ক‌তিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নেত্রকোনায় পাহারাদারকে হত্যা করে গরু লুট, ৫ ডাকাত গ্রেফতার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার  শ্যামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নি’হত নেত্রকোনায় তালিমুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নেত্রকোনায় দক্ষিণ কাটলি অবস্থিত তালিমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নেত্রকোনায় কলমাকান্দা পরিবারের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত অবৈধভাবে নাম ও লোগো ব্যবহারের প্রতিবাদে নেত্রকোনায় বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সংবাদ সম্মেলন মদনে মাইক্রোবাসের চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত পূর্বধলায় নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় অবৈধ স’মিলের ছড়াছড়ি ঃ বন বিভাগ ও প্রশাসন নিরব

সিনিয়র রিপোর্টার এ কে এম আব্দুল্লাহ্।
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ২২২ বার পড়া হয়েছে

সরকারের সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে লাইসেন্স ছাড়াই প্রশাসনের নাকের ডগায় নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ স’ মিল (করাত কল)।

নিয়ম নীতি ও লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র অবৈধ স’মিল গড়ে উঠায় একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী মিল মালিকদের কাছ থেকে বাৎসরিক উৎকোচ আদায় করে। এতে করে লাভবান হয় ওই কর্মকর্তা কর্মচারী ও মিল মালিকরা। অপর দিকে সরকারের রাজস্ব তহবিলের খাতা শুণ্যই থেকে যায়।

নেত্রকোনা বন বিভাগ অফিস সুত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার আনাচে কানাচে মিলিয়ে ৩ শত ২৮টি স’মিল রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২১টি মিলের লাইসেন্স আছে। তবে এদের অনেকেই নিয়মিত ভাবে লাইসেন্স নবায়ন করছেন না। অভিযোগ রয়েছে, এসব মিলের ফারিয়া দালালরা গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে সব ধরণের গাছ বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করছে। অনেক মিলে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ কাঠ ও বন বিভাগের কাঠ ছিড়াই করা হয়। এতে করে একদিকে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে, অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের এক কর্মচারী জানান, একটি স’মিলের লাইসেন্স করতে বেশ কয়েকটি কাগজপত্র এবং ২ হাজার ৩ শত টাকার প্রয়োজন হয়। বাস্তবে লাইসেন্স করতে আসা স’মিল মালিকদেরকে সাত পাঁচ বুঝিয়ে দিনের পর দিন হয়রানী ও সেই টাকার ৩/৪ গুণ বেশি টাকা নেওয়া কারণে স’মিল মালিকেরা লাইসেন্স করতে আগ্রহী হন না। বন কর্তারা ‘টু-পাইস’ ধান্দা করে জনবল সঙ্কট দেখিয়ে মিল তদারকি যুগের পর যুগ বন্ধ করে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রফিক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মিল মালিকদের একাধিক বার নোটিশ দেয়া হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে তারা লাইসেন্স করছেন না। এ বিষয়ে তিনি কার্যকরী মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানান। তিনি মনে করেন, অবৈধ মিল মালিকদের বড় ধরনের জরিমানা বা মিল সিলগালা করলে তারা লাইসেন্স করতে বাধ্য হতেন। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একাধিক মিল মালিকের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল স’মিলের লাইসেন্স কেনো করছেন না ? এ ব্যাপারে তারা কোনো জবাব দিতে রাজি হন নি। শুধু এটুকু জানান, লাইসেন্স করতে গেলে ব্যাপক হয়রানীর শিকার হতে হয়। প্রতিটি স’মিল সম্পর্কে বন বিভাগ অবগত আছেন।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এ এফ জি মোস্তফা জনবল সঙ্কটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তারা সব বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতিটি স’মিল মালিককে লাইসেন্স করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। লাইসেন্স না করলে পরবর্তীতে এসব স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা জেলায় ৭৩ জন স’মিল মালিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। এগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরী করার পর জেলা প্রশাসকের অফিসে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি মিল মালিকদের কাছ থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, লাইসেন্স করানোর জন্য আমরা মিল মালিকদের বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করেছি, কিন্তু মিল মালিকরা নানা ধরণের টালবাহানা ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। অবৈধ স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন করে আসছি। অচিরেই জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ স’মিল মালিকদেরকে লাইসেন্স করাতে বাধ্য করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin