কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বলাইশিমুল গ্রামে খেলার মাঠে আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মানাধীন ঘর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাঠ রক্ষা করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিমার্ণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে বলাইশিমুল মাঠ প্রসংগে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন- প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কড়া নির্দেশনা রয়েছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম মুঠোফোনে আলাপকালে জানান নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের মাধ্যমে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হলে, প্রধানমন্ত্রী মাঠ রক্ষা করেই আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মানের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
এ সময় মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম আরও বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনতার মতামতের ভিত্তিতেই মাঠের পাশে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। তিনি বলেন, মাঠের ৭৬ শতাংশ জায়গা দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ৪৬ শতাংশ জায়গায় ২৩টি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে মাঠ রক্ষাও হচ্ছে, আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজও চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ১ একর ৭৬ শতাংশ মাঠটিতে ২৩টি ঘরের পরিবর্তে ১৯টি ঘর নির্মান হচ্ছে। খেলার মাঠ মাঠের জায়গাতেই থাকছে। তিনি ১ একর ৪০ শতাংশ খেলার মাঠটি সংস্কার করে খেলার উপযোগী করে দেবে বলেও জানান। এদিকে বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি আব্দুর রহিম বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প হওয়াতে মাঠের কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। আমরা চাই এখানে আশ্রয়ন প্রকল্প হোক। এদিকে শতবর্ষী বলাইশিমুল মাঠটি রক্ষার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে শুক্রবার (২২ জুলাই) বাদ জুমা আবারো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বলাইশিমুল ইউনিয়নবাসী। স্থানীয় হাবীবুর রহমান মন্ডলের সভাপতিত্বে ও আবুল কালাম আল আজাদের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ রায়হান উদ্দিন,সাইফুল ইসলাম জুয়েল,ফরিদুল ইসলাম ফিরোজ,আতিকুর রহমান চুন্নু,শাহ আলম ছোটন,মামুন,দিলোয়ার,সাজিদুর রহমান সেলিম, মিলন, কিবরিয়া, ইমরান, সাইমন আক্তার, লোকমা সৃজন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন-আশ্রয়ণ প্রকল্পও হোক, আবার খেলার মাঠটিও অক্ষত থাকুক। অর্থাৎ অন্য কোনো স্থানে যেন এই সরকারের এই গণমুখী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।