শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কোটা সংস্কারের দাবিতে মদনে বিক্ষোভ। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক। নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের অভিযান ঃ দুইটি চোরাই গরু একটি ট্রাকসহ এক চোর আটক নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে ভেসে গেছে স্কুল শিক্ষার্থী নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযানে আটক-৮ ঃ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জুয়ারী নিখোঁজ মদনে সুমনখালী খাল খননে এলাকাবাসীর দাবি। টাকা আত্নসাত মামলায় নেত্রকোনায় মাদ্রাসার হিসাব রক্ষক গ্রেপ্তার ঃ কারাগারে প্রেরণ ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ সভায় শেষ্ঠ ওসি নেত্রকোনা মডেল থানার আবুল কালাম সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান বলেন গাছে গাছে সবুজ দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। নির্বাহী কর্মকর্তার পরিকল্পনায় পাল্টে গেছে মদন উপজেলা পরিষদ চত্বরের দৃশ্যপট মিথ্যা সংবাদ করার প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন

বাবাকে জবাই করে হত্যায় অভিযুক্ত ছেলে গ্রেপ্তার

সিনিয়র রিপোর্টার এ.কে.এম আব্দুল্লাহ
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাবাকে জবাই করে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে ছেলে  আরমান শাহ’কে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরমান শাহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড় বেথাম গ্রামের আবুল শাহ এর ছেলে।
র‌্যাব জানায়, গত ১৮ মার্চ রাতে আরমান শাহ  তার বাবা আবুল শাহকে (৫৫)  নিজ বাসায় জবাই করে হত্যা করে। পরে বন্ধু আশিকুর রহমান আবিরকে নিয়ে  লাশ লুকানোর বিষয়ে গভীর রাত পর্যন্ত পরিকল্পনা করে। দুজনে মিলে লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবে। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই চিন্তায় বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখে লাশ। পরে উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে করে লাশ পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে আবুল শাহকে খুঁজে না পেয়ে দুইদিন পর থানায় বিষয়টি অবহিত করেন তার ভাই হিরা মিয়া।
পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে আরমানের বন্ধু আবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আবিরের দেয়া তথ্যে খালের পাড় থেকে মাটিতে পুতা অবস্থায় আবুল শাহ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত আবুল শাহর স্ত্রী রুবাহার, মেয়ে চিন্তা মনি ও আবিরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আরমান পালিয়ে যায়। পরে নিহতের বড় ভাই সোহরাব শাহ বাদী হয়ে আরমানকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রুবাহার,  চিন্তা মনি ও আবিরকে গ্রেপ্তার  আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারগারে পাঠান। তারা এখনো কারাগারে রয়েছেন।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর আরমান হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরমানের নামে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা, দস্যুতাসহ চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আরমান এর আগেও একবার তার বাবাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরমানকে রোববার বিকালে আদালতে পাঠানো হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin