পপি রানী বিশ্বাস কে বিয়ে করে প্রতারনার শিকার হয়েছেন জনার্ধন চন্দ্র সূত্রধর নামের এক ব্যক্তি।
নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলা র বাঘমারা গ্রামের পপি রানী(৩২) কে বিয়ে করে এখন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্বামী জনার্দন চন্দ্র সূত্রধর। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আমলী আদালত বারহাট্টা নেত্রকোনায় তার স্ত্রী সহ ৭ জনকে আসামি করে ২১-১১-২৪ ইং তারিখ মামলা দায়ের করেন দ্বায়ের করেন জনার্ধন চন্দ্র সূত্রধর ।অভিযোগে জানা যায় বিগত ৯ বছর পূর্বে জনার্ধন সুত্রধর এর সঙ্গে পপি রানী র সনাতন ধর্মীয় বিধি বিধান অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হয়।বিয়ে র কিছু দিন পর জনার্ধন স্ত্রী পপি রানী কে রেখে বিদেশে চলে যায়। জনার্ধন সুত্রধর বিদেশ থাকাকালীন পপি রানী জমি ক্রয় ও ঘর নির্মান বাবদ বিভিন্ন বাহানা করে টাকা আনিতো।বিভিন্ন মোবাইল বিকাশে র মাধ্যমে টাকা আনে যার হিসাব ২২,৯৩,০০০/টাকা।দীর্ঘ ৯ বছর পর ৮-১০-২৪ ইং দেশে আসেন।তাদের ভালোই চলছিলো সংসার কিন্তু হিসাব চাইলে ই শুরু হয় জনার্ধনের জীবন মরনের হিসাব। পপি রানী এবং রিপন বিশ্বাস, তন্ময় বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস,সুমিতা বিশ্বাস, ডালিম,লিংকন এর সহায়তা নিয়ে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে ১০০/টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দস্তখত নেয়। বিদেশ থেকে আনা ১ ভরি ৫আনা স্বর্ণ, ২২০০ইউরো ডলার, সহ নগদ ২০০০০০/টাকা সর্বমোট ৭০২,০০০/টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঘর হতে বের করে দেয়। এলাকাবাসীর অনেকের সাথে কথা বললে বকুল নামে এক জন জানান,জনার্ধন সহজ সরল মনের মানুষ, পপি রানীর পরিবার জমি ক্রয় ও ঘর নির্মান সহ নানান কাজের অজুহাতে মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনিতো। বর্তমানে তা অস্বীকার করে। জনার্ধনের টাকা পয়সা, স্বর্ণ অলংকার সহ সব জব্দ করে পপি রানীর পরিবার, বর্তমানে জনার্ধনের পথের ফকির। এলাকা বাসীর দাবী জনার্ধন সঠিক বিচার পাবে, এমন প্রত্যাশা করছেন এলাকা বাসী।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন কোর্ট থেকে মামলা পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।