![](https://khobornetrokona.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নেত্রকোনার মদনে গোবিন্দশ্রী গ্রামে ইজ্জত আলী সরকারের ছেলে, জিলাস উদ্দিনের( ৫৫) বিরুদ্ধে ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৪১ শতাংশ বসতি বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের আলোকে ও গোবিন্দশ্রী ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায় জে এল নং ৮২ খতিয়ান নং ২৬০১ বিআরএস দাগ নং ৪১৭৪ উক্ত দাগে মোট জমি রয়েছে ৪১ শতাংশ যা পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক মৃত ছানা উদ্দিনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ইয়ার চৌধুরী( ৬৫)।
উক্ত জমি বীর মুক্তিযুদ্ধা ফারুক চৌধুরী , গোবিন্দশ্রী গ্রামের ইজ্জত আলী সরকারের ছেলে হাফিজ উদ্দিন সরকার এর কাছে ৪১ শতাংশ জমির মধ্যে ২৮ শতাংশ জমি সাফ কাওলা মূলে বিক্রি করেছেন।
বাকি১৩ শতাংশ জমি একই গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিন সরকারের ছেলে আবদুল হেকিম সরকারের কাছে সাফ কাওলা মূলে বিক্রি করেছেন। যা ক্রয় সূত্রে মালিক হয়েছেন দুই জন হাফিজউদ্দিন ও আব্দুল হেকিম।
এই ৪১৭৪ দাগের মোট ৪১ শতাংশ জমির মধ্য ক্রয় সূত্রে মালিক হাফিজ উদ্দিন সরকার ২৮ শতাংশ ,
ও মৃত আবদুল হেকিম সরকার ১৩ শতাংশ । মৃত আব্দুল হেকিমের ১৩ শতাংশ জমি ওয়ারিশান সূত্রে খারিজ হয়েছে ৬/৮/২০০৮ সালে ৩ ছেলে ১ মেয়ে ও মৃতের স্ত্রী সাহের আক্তার নামে।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন ,এতদিন শুনিনাই জিলাস উদ্দিনের জায়গা এখন ঘর করতে গেলে মৃত হেকিমের ছেলেদের কে বাধা সৃষ্টি করে ১৯৭১ সালের একটা দলিলের এনে
জিলাস উদ্দিন ও তার ছেলে পলাশ দাবি করে বলে তাদের জায়গা। বিষয়টা এলাকার লোকজনের মনে সন্দেহ জেগেছে।
বাধা দেওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যানসহ ঐ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ বিষয়ে দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেও বিষয়টা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়।
জিলাস উদ্দিন কিসের উপর ভিত্তি করে বাধা সৃষ্টি করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২ মার্চ ১৯ ৭১ সালে ছানা উদ্দিন (চনু) মিয়া আমার কাছে বিক্রি করছেন , তখন আপনার বয়স কত জানতে চাইলে, তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমার পিতা আমার নামে দলিল করেছেন আমি দখল ছাড়বো না ।
পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে, তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন ,৪১৭৪ দাগে মোট জমি ৪১ শতাংশ যা আমি বিক্রি করেছি হাফিজ উদ্দিন সরকারের কাছে ২৮ শতাংশ ও আবদুল হাকিম সরকারের কাছে ১৩ শতাংশ।
এত বছর পরে জিলাস উদ্দিন কি করে বলেন, আমার পিতা ছানা উদ্দিন তার কাছে জমি বিক্রি করেছেন , তাহলে তো বিআরএস তার নামে থাকতো , খারিজ তার নামে হইতো ভূমি অফিসে খাজনা রশিদ তার নামে থাকতো । তার নকল দলিলে যে স্বাক্ষর আছে, তা আমার পিতা ছানা উদ্দিন এর না , মিথ্যা বানোয়াট নকল দলিল তৈরি করে এলাকা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করার জন্য উঠে লেগে পড়েছে জিলাস উদ্দিন সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রূপক সরকার তিনি জানান, পৈত্রিক সূত্রে আরোআর বি আরএস এ মালিক হচ্ছেন ৪১৭৪ দাগের বীর মুক্তিযুদ্ধা ফারুক চৌধুরী । জিলাস উদ্দিনের ৪১৭৪ এ দাগে কোন জমি নাই।