এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাসুমা আক্তার কে নায়েকপুর ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া গ্রামের ধনাই মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০)এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহের রেজিস্ট্রি কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল।
সেই বিয়েটা ভেঙে দেয় , আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের গড়মা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোমেন (২৭)। তেলিগাতী সরকারি কলেজে করার সময় তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।
পরবর্তীতে মোমেন মাসুমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সৌদি আরব চলে যায়। কিন্তু মাসুমা আক্তারের পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। মোমেন মাসুমার বিয়ের খবর জানতে পেরে বিবাহ হতে যাওয়া স্বামী জাহাঙ্গীরের ফেইসবুক মেসেঞ্জারে, পূর্বের ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ও ছবি পাঠায়। যার কারণে মাসুমার বিয়েটা ভেঙে যায়।
সৌদি প্রবাসে থাকা প্রেমিক মোমেন বিবাহর আশ্বাস দেন প্রেমিকা মাসুমাকে , যা মাসুমা আক্তার এ ঘটনা তার পরিবারকে বলতে বাধ্য হয় । প্রেমিকার পরিবার/ প্রেমিকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিবাহের দিন তারিখ ধার্য করতে চাইলে, গত শুক্রবার মোমেনের পরিবারের লোকজন রিং পড়ানো কথা ছিল কন্যার বাড়িতে এসে। কেন আসে নাই প্রেমিকা মাসুমা আক্তার জানতে চাইলে, প্রেমিক মোমেন বলেন, তোকে যা করার করে ফেলেছি ।তোকে বিবাহ করবো কেন, ও অশালীন ভাষায় গালাগালি করে প্রেমিকা মাসুম আক্তার কে ।যে কারণে আত্মহত্যা করেছে ,বলেন পরিবারের লোকজন।
মেয়ের ভাই ইয়াসীন বলেন,বিবাহ ভেঙে দিয়েছে, বিবাহ করার কথা বলে, সমাজ ও পরিবারের লোকজনের কাছে হেয় পুণ্য করার কারণে আমার বোন মাসুমা আক্তার আত্মহত্যা করেছে, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রবাসে থাকা মোমেনের বিচার আইনের মাধ্যমে দাবি করছি।
এই ঘটনা জানার জন্য প্রেমিক মোমেনের বাড়িতে গেলে, মেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা শুনে মোমেনের পরিবারের লোকজন গড়মা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলেন, প্রতিবেশী ও এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মদন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে , এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।