শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

মদনে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ।

শফিউল আলম রানা : মদন প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে
নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী  ইউনিয়নের কদমশ্রী দাখিল মাদ্রাসার (সুপার) এটিএম সাইফুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির (সভাপতি) সাইদুল হক তালুকদারের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তির কাছ( তিন পদের) জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কারণে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে  লিখিত এক অভিযোগ দায়ের করেছেন হারেছ মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,
কদমশ্রী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া, এই (তিন পদের ) জন্য জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় নিয়োগ পত্র প্রকাশিত হয়। ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ এই তিন পদের নিয়োগের অংশ গ্রহণকারীদের পরীক্ষাটি কদমশ্রী দাখিল মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত তিন পদের  নিয়োগে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে, মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কদমশ্রী দাখিল মাদ্রাসার অভিযুক্ত  সুপার এটিএম সাইফুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুল হক তালুকদার।
  এ বিষয়ে সরেজমিনে গেলে ৩ পদে আবেদনকারী ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুল হক তালুকদার ও মাদ্রাসার সুপার এটিএম সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের নিজ পছন্দের প্রার্থীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে তিন পদের চাকরি নিশ্চিত করেন। ভুক্তভোগীরা এও বলেন,পরীক্ষা হয়েছে শুধুমাত্র কাগজে-কলমে লোক দেখানোর জন্য। কিন্তু মাদ্রাসার সুপার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাদের নিজের আত্মীয়-স্বজন ও তাদের ছেলে/মেয়েকে চাকরি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী  আয়া পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ইসরাত জাহান বলেন, সভাপতি সাইদুল হক, আমাকে চাকরি দিবে বলে, আমার শশুরের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ।
পরীক্ষার হলে গিয়ে জানতে পারি এভাবে আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি।
আরেক ভুক্তভোগী একই পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী জান্নাত আক্তার বলেন, আমাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে,পরীক্ষার আগের দিন চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতি।
নিরাপত্তা কর্মী পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ঝুটন চন্দ্র দাসের বাবা সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছে মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতি।
মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী তিনি বলেন, অভিযোগ এখনো হাতে পায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin