নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ৮ নং ফেতেপুর ইউনিয়নের বনতিয়শ্রী গ্রামে যৌতুকের জন্য শারমিন আক্তার( ডেজি) নামের এক মহিলা কে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, শারমিন আক্তার ডেজির স্বামী বনতিয়শ্রী গ্রামের হাজি আসাব আলীর ছেলে আফার উদ্দিন মেম্বার। তিনি ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি সদস্য ।
নির্যাতিত শারমিন আক্তার ডেজি দুই সন্তানের জননী।
শারমিন আক্তার ডেজি জানান,তাকে প্রায় সময়েই যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। তিনি আরো বলেন , আমাকে বার-বার চাপ প্রয়োগ করে টাকার জন্য । আমাকে বলে আমার বাবার বাড়ি থেকে ৬ লক্ষ টাকা এনে তাকে দেওয়ার জন্য। আমি টাকা আনতে না করায় আমাকে মারধর করে।
তিনি আরো জানান, আমার বিবাহের সময় যে যৌতুক দেওয়ার কথা ছিল, সে টাকা বিবাহের সময়ই পরিশোধ করেছে আমার বাবা। এখন আমাকে বার – বার মারধর করে, আর বলে টাকা এনে দেওয়ার জন্য ।এলাকাবাসী এ নিয়ে বহু বার দেনদরবার করেছে ইউনিয়ন পরিষদে, তখন সে বলেছিল আর এধরণের কাজ জিবনে করবে না।
গত ২৯ জুন সে আবার আমার কাছে টাকা চাইলে, আমি অস্বীকার করায় আমাকে ঘরে ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে সারা শরীর । আর বলে আমাকে জিবনের জন্য মেরে ফেলবে ।তখন আমি ভয়ে পাশের বাড়ি আলি আকবরের বাড়িতে চলে যাই। সেখান থেকে আমাকে চুলের মুটি ধরে পুনরায় টেনে হিছড়ে বাড়িতে নিয়ে এসে আমাকে মেরে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
আমার জ্ঞান ফিরার পর আমি ৯৯৯ কল করলে মদন থানার পুলিশ এ এসআই সোহেল রানা আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন ।
এখন আমি চিকিৎসাদিন রয়েছি মদন হাসপাতালে ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আফার উদ্দিন মেম্বার বলেন, আমি মেরেছি সত্য কথা কিন্তু জানে মারার জন্য তাকে মারিনি।
মদন থানার তদন্ত ওসি উজ্জল কান্তি সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান, ৯৯৯ কল করলে পুলিশ উদ্ধার করে শারমিন আক্তার (ডেজিকে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে, সে এখন চিকিৎসাদিন রয়েছে, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।