নেত্রকোনার মদনে ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বকুল মিয়া (৫৫) কে মদন থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাড়াইল থানায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব১৪।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার একটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মাদ্রাসাতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশুটি।
শিশুটির মা-বাবা বাড়িতে না থাকায় মাদ্রাসা থেকে আসার পর দাদা নাতনি কে ডেকে নিয়ে যায় হাতের কাঁটা খুলে দেওয়ার জন্য।
শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ঘরে
ভিতরে মুখে গামছা ও হাত, পা বেঁধে
জোরপূর্ব শিশু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
শিশু মেয়েটিকে ভয়ও দেখান একথা যেন কারো কাছে না বলে, বললে প্রাণে মেরে ফেলবো।
মা, বাড়িতে আসার পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটি মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে ঘটনাটি ।
পরে গত ২ রা সেপ্টেম্বর দুপুরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বকুলকে আসামি করে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪–এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মদন থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালায়।
গত শনিবার রাতে তাড়াইল থানা থেকে অভিযুক্ত আসামি বকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামি বকুল মিয়া উপজেলা নায়েকপুর ইউনিয়নের পাঁচ আলমশ্রী গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব ১৪ সূত্রে জানা যায়,আসামি বকুল মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে মদন থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হক বলেন, মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং এর
মাধ্যম তার অবস্থান চিহ্নিত করা হয়, পরে
র্যাব ১৪ সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে নেত্রকোনার জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।