নেত্রকোনার মদনে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এপিবিএন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিন (২২) এর বিরুদ্ধে।
রিয়াজ উদ্দিন ঢাকা উত্তরা ৫ এপিবিএন ব্যাটালিয়ানে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেবি আক্তার( ২০) এর সাথে ২০২১ সালের (১০ অক্টোবর ) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এর (৩ লাখ টাকা) দেনমোহরে বিয়ে হয়।
জেবি আক্তার মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া গ্রামের মৃত নূর মিয়ার কন্যা,
ও রিয়াজ উদ্দিন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের ঠাকুর মিয়ার ছেলে।
বিবাহের সময় বাড়িতে নতুন হাফ বিল্ডিং ঘর করার কথা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক নেয়া হয়। ঘর করে স্ত্রী জেবি আক্তার কে তাদের বাড়িতে নতুন বউ হিসাবে উঠিয়ে নিয়ে যাবে।
পরবর্তীতে ছুটিতে আসলে( স্ত্রী) হিসেবে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা বললে, পুনরায় আরও ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এপিবিএন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিন।
পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর রোজ বুধবার উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশে রাস্তায় (স্ত্রী) জেবি আক্তার কে মারধোর করে ,এপিবিএন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিন তার বাবা ঠাকুর মিয়া ও তার মা পেয়ার আক্তার তিনজনে মিলে।
স্ত্রী জেবি আক্তার কে হত্যা সহ মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকি এবং অন্যত্র বেশী যৌতুক নিয়ে বিবাহ করবে বলে শ্বাসিয়ে যায়, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিন।
স্ত্রী জেবি আক্তার এ মর্মে (৫, এপিবিএন ব্যাটেলিয়ানের) অধিনায়ক এডিশনাল ডি আইজি শামীমা খাতুন এর বরাবর, পারিবারিকভাবে ইসলামীক শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন করার পর স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে সংসারের নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
৫ এপিবিএন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক এডিশনাল ডি আইজি শামীমা খাতুনের বরাবর আবেদন করার কারণে, পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এপিবিএন পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে,
সে তার স্ত্রীকে মারধর করার কথা অস্বাীকার করে বলে, আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে (৫ এপিবিএন ব্যাটালিয়নের) এডজোটেন ইন্সপেক্টর হারুনুর রশিদ জানান, স্বামী, স্ত্রী উভয় পক্ষের গার্ডিয়ানকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টা মীমাংসার জন্য। কনস্টেবল রিয়াজ উদ্দিনকে বলা হয়েছে নিষ্পত্তি করার জন্য। সমাধান না করলে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
