নেত্রকোণার মদন থানার হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ ৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকল মুক্তিযোদ্ধারা।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে মদন উপজেলা পাবলিক হল মুক্ত মঞ্চে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র্যালি, আলোচনা সভা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
মদন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হইতে র্যালিটি বের হয়ে উপজেলা পাবলিক হলে এসে শেষ হয় ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ ,উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান (মাস্টার), মদন উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন তালুকদার, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান (এখলাছ), জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য সাইফুল ইসলাম (হান্নান), জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য মহিলা লীগের নেত্রী আয়েশা আক্তার, ওসি ফেরদৌস আলম, অন্যান্য প্রমুখ।
ওলামা লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান( সঞ্জু) ইমামের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ।
হানাদার মুক্ত দিবসের ব্যাপারে জানতে চাইলে , সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার , বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, হেলাল উদ্দিন তালুকদার বলেন,
১৯৭১ সালে ৬টি কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা চতুর্মুখী অবস্থান নিয়ে তিন দিক থেকে ঘিরে পাক-হানাদার বাহিনীর উপর অবিরাম গুলি বর্ষণের মধ্য দিয়ে ৬ দিন ৬ রাত বিরতিহীনভাবে গেরিলা যু্দ্ধ করে তাদের উপর অপ্রতিরুদ্ধ ব্যারিগেট সৃষ্টি করলে পাক-হানাদার বাহিনী কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া উপজেলা থেকে শতাধিক পাক-বাহিনীর একটি সশস্ত্র দল মদন এসে পৌঁছে সাপোর্ট দিয়ে এখান থেকে পাক-বাহিনী নিয়ে ৬ নভেম্বর ভোরে আমাদের মদন থানা ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া থানা হয়ে নেত্রকোণা চলে যায়।
হানাদার বাহিনী যাওয়ার প্রাক্কালে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলা গুলিতে ৮ জন পাক হানাদার সেনা সদস্য নিহত হয় আহত হয় অনেক।
আমাদের বীর মুক্তিযুদ্ধা নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামের আব্দুল মজিদের পিঠে এসে শত্রু পাক-হানাদার বাহিনীর একটি এসএমজির গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণত্মক মনোভাব নিয়ে গেরিলা পথ অবলম্বন করে ৬ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার ক্যাম্প দখল করে মদনকে হানাদার মুক্ত করি। আজ সেই ৬ ই- নভেম্বর ইতিহাসের পাতায় চিরঅমর হয়ে থাকবে । তখন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা উল্লাসে উড়িয়ে ছিলাম ,মাতৃভূমি বাংলার লাল সবুজের পতাকা ।