এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসায় গেলে প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সামনে একটি জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীকে পাশের বালালী বাঘমারা বাজারে পাওয়া গেলে তারা অভিযোগ করে বলেন, সুপার নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না। আসলেও তিনি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে ভালো আচরণ করেন না। কখনও স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালন করেন না। এমনকি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়নি এ প্রতিষ্ঠানে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বালালী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এ মাদ্রাসার সুপার জামায়াত পন্থি থাকায় কোনো জাতীয় দিবস পালন করে না। দিবসটিতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েই তিনি উধাও হয়ে যান। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ দিবসটি পালন করেনি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে আমার বিশ্বাস।
মাধ্যমিক একাডেকিম সুপার ভাইজার জ্যোৎস্না আক্তার জানান, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানে আমি চিঠি পাঠিয়েছি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ দিবসটি উদযাপন করবে। যদি দিবসটি উদযাপন না করে তাহলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদ্রাসার সুপার মো. বজলুর রহমান বলেন, সকালে শিক্ষকদের নিয়ে কেক কাটা হয়েছে। তবে এ অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে, তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এ অনুষ্ঠানের কোনো ছবি তোলা হয়নি বলে এড়িয়ে যান।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কমিটির আরেক সদস্য গোলাম কিবরিয়া বকুল জানান, সুপার কখনো আমাদেরকে দিবস পালনের ব্যাপারে অবগত করেন না। আজকেও দিবসটি পালনের ব্যাপারে আমাদেরকে জানায়নি। বুধবার সুপার মাদ্রাসায় এসে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা বলে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, যদি কেউ জাতীয় দিবস পালনে গাফিলতি করে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।