নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীগুলোকে চিহ্নিত করণ করে নদীর পাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান।
গত ১৭ জুন কেন্দুয়া উপজেলা পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি কেন্দুয়ার নদীগুলোকে চিহ্নিত করণ করে নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপনের আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি কেন্দুয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আব্দুর রহমান এ সময় এ দেশের নদ-নদীর ইতিহাস বিষয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেন এবং নেত্রকোনা জেলার সকল নদী সমূহকে চিহ্নিত করে নামের সাইন বোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানায়। নদীর পাড়ে নদীর নামের সাইনবোর্ড স্থাপিত হলে নতুন প্রজন্ম নদীর ইতিহাস ঐতিহ্য জানবে পারবে। ইতিহাস বিকৃতি ও নদীকে খালে রূপান্তর যেন আর না হয়,সেজন্য সকলেই সচেতন হতে পারবে। এছাড়াও গণমাধ্যম কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে কেন্দুয়ার রাজ রাজেশ্বরী নদীকে দখল মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে আশ্বাস প্রদানসহ খননের কাজের জন্য চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব আলোচনা হয়।
১৭ জুন বৃহস্পতির কেন্দুয়া উপজেলা পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শণ ও উদ্বোধন করেন।
কেন্দুয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ঢেউটিন এবং চেক বিতরণসহ “ব্রেইন চাইল্ড” বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব উইমেন্স কর্নারের উদ্ধোধন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব উইমেন্স কর্নারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে নারী সমাজের কল্যান করা। একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে কোন নারী কি বিষয়ে আবেদন করেছেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তাও নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে।
মুজিব বর্ষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বই পাঠে আগ্রহী করে তোলার জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাঠাগারের মালিক, সাংবাদিকগণ এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়। পাঠাগার উন্নয়ণের জন্য সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
কেন্দুয়ার প্রখ্যাত ব্যক্তি নলিনীরঞ্জণ সরকারের বাড়ি পরিদর্শণসহ উপজেলা পরিষদ ভবনের রিনোভেশন কার্যক্রমের উদ্বোধণ করেন। এছাড়াও তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উপজেলা ভূমি অফিসের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম,আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিদর্শণ এবং উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন বীরগঞ্জ কাচারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ। সেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্রেষ্ট বিতরণ করেন। তাম্বুলীপাড়া ন্যাচারাল পার্কের রাস্তায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করে রাঙ্গাপথ নাম ঘোষণা করেন।