জলাভুমি বাংলাদেশের কিডনি বাস্থতন্ত্র, স্থানীয় ও আঞ্চলিক তাপমাত্রা,বৃষ্টিপাত,মিঠাপানির আধার,ভুগর্ভেপানির পুনর্ভরাট,কার্বন আধার,জলবায়ু অভিঘাত প্রশমন,অভিযোজন,জীবিকার উৎস,অর্থনৈথিক অবদান,পরিবেশ সুরক্ষাসহ মানুষের জীবনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জলাভুমি কিডনির মতো কাজ করে।
আজ বিশ্ব জলাভুমি দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোণা সম্মিলিত যুব সমাজ,শিক্ষা-সংস্কৃতি-পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি নেত্রকোণা অঞ্চলের নদী হাওর খাল,পুকুরসহ সকল জলাভুমি সুরক্ষার দাবীতে নেত্রকোণা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানবন্ধনের আয়োজন করে।
আয়োজেনে নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ,উদীচী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি,আ:রহমান ফাইন্ডেশন, পরিবেশ নেটওয়ার্ক নেত্রকোণা, পল্লীবাংলা,সাংবাদিক, হিমু পাঠক আড্ডা,যুবক , শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নেত্রকোণা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রনি খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষা-সংস্কৃতি-পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি সভাপতি নাজমুল কবীর সরকারের সভাপতিত্বে কথা বলেন,সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ ইমরান,উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান,সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান, সাংবাদিক দেলুয়ার খান, হাওর বন্ধু ইকবাল হোসেন,সুমন খান, শিক্ষা-সংস্কৃতি-পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি সম্পাদক সাংবাদিক আলপনা বেগম, এএসপিএসের নির্বাহী পরিচালক মোস্তাকিম বিল্লাহসহ অনেকেই ।
নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সাইফুল্লাহ ইমরান বলেন, “বারসিকের সহযোগিতায় শিক্ষা-সংস্কৃতি-পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি ও নেত্রকোণা সম্মিলিত যুবসমাজের উদ্যোগে আজ আমাদের হাওরের আড়াই কোটি মানুষের পক্ষে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি জলাভুমি সংরক্ষণের দাবিতে, এই জলাভুমি প্রাণবৈচিত্র্যের আবাসস্থল এই পাশে বহমান মগড়া,ধলই,ধনু সোমেশ্বরী আমাদের মায়ের মতো। জলাভুমি গুলো রক্ষা করা জরুরি। সরকার জলাভুমি রক্ষা করবে আমরা সহযোগিতা করবো।”
সভাপতির ভাষণে নাজমুল কবীর সরকার বলেন, নেত্রকোণা জলাভুমি রক্ষার জন্য সকল পরিবেশ কর্মীর যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি দায়িত্ব প্রশাসনের। জলাভুমি বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ,এই জলাভূমি আমরা হারাতে পারিনা তাহলে আমরা বিপন্ন হয়ে যাবো।