নেত্রকোণায় বিএডিসির অবহেলার কারণে বীজ ক্রয় করে রোপণ করায় আগাম জাতের ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্টার রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে ধানে হয়েছে প্রচুর চিটা, উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে একেবারে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার আপামর কৃষক।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে এসব আগাম জাতের ধান বীজ পর পর অন্তত দশবছর পর্যন্ত ভালো ফলন হয়। এর পরে কমতে থাকে উৎপাদন। ফলে প্রয়োজন দেখা দেয় নতুন জাতের বীজ।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম মোবারক হোসেন জানান, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি আগের ব্রি-২৮ এর পরিবর্তে নতুন জাতের ব্রি-৮৮ ধান এবং ব্রি-২৯ এর পরিবর্তে ব্রি-৮৯ জাতের ধান রোপণ করার জন্য। তিনি আরও জানান, প্রতি উপজেলায় এই দুইটি নতুন জাতের ধানের জন্য ৫ একর করে প্রদর্শনী করা হয়েছে।
কৃষকরা এই উৎপাদন হ্রাস এর জন্য দায়ী করছে বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি ও প্রচার কম করার জন্য দায়ী করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে।
কৃষিবিদরা মনে করেন, কৃষি সম্প্রসারণ এবং বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করলেই আশানুরূপ উৎপাদন সম্ভব।