নবান্ন উৎসবে মেতেছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে নেত্রকোণায় বোরো ধান সংগ্রহে। দিনমজুর সংকটে থাকায় বিপাকে কৃষকরা।স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত পরিশ্রমে মরিয়া হয়ে পড়েছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। কালবৈশাখী ঝড় ও ঘুর্নিঝড় অশনির কবল থেকে ক্ষেতের পাঁকা ধান রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষক।আবহাওয়া খারাপ থাকায় চড়া দাম হাকাচ্চে দিনমজুর। তাই ভিন্ন ভিন্ন জেলা হতে মেশিন নিয়ে এসে ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে।জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ হেক্টর উফশি, ৩৪ হাজার ৫৮৫ হেক্টরে হাইব্রিড ও ২৭০ হেক্টরে স্থানীয় জাত রয়েছে।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ লক্ষ ৭০ হাজার ৭০২ মেট্রিকটন।
ধান কাটামাড়াই মেশিনের মালিকের সঙ্গে কথা বললে,তিনি জানান, জেলা কৃষি অফিসের পরার্মশক্রমে প্রণোদনার ভিত্তিতে গত দুই বছর আগে হারবেস্টার কমবাইন্ড মেশিন ক্রয় করেছি। এখন পর্যন্ত মেশিনের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। কৃষকরা মেশিন দিয়ে ধান কাটামাড়াই করতে চায় না। কৃষকদের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে। বর্তমানে প্রতিবিঘা জমি আড়াই হাজার টাকায় কাটামাড়াই করা হচ্ছে। একটি মেশিন চালাতে চালকসহ ২ জন শ্রমিক লাগে। তাছাড়া তেলের দাম অনেক বেশি।
জেলা কৃষি অফিসার উপ- পরিচালক এফ এম মোবারক আলী জানান,কাটামাড়াই প্রায় শেষের দিকে । দিনমজুর নেই বললে চলে, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা এখন বর্গা দিয়ে চাষাবাদ করছে।সে কারণে দিনমজুর সংকট দেখা দিয়েছে। তবে মেশিনের সাহায্যে কাটামাড়াইয়ে অনেক সুবিধা রয়েছে।