নেত্রকোণার কংশ নদী থেকে ৬ লাখ টাকা মূল্যের ইঞ্জিন চালিত নৌকা চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন নৌকার মালিক একলাছ মিয়া। ৩০ জুন রাতে উপজেলার ধলামুলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দাস্থ কংশ নদীর মেম্বারের ঘাট থেকে নোঙ্গর করা অবস্থায় রাতের আঁধারে ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি চুরি হয়। পরের দিন পূর্বধলা থানায় অভিযোগ করেন নৌকার মালিক একলাছ মিয়া। একমাত্র উপার্জনের ভরসা নৌকাটি চুরির ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার না হওয়ায় কর্মহীন, অর্ধাহার অনাহারে দিশেহারা অন্তত ১০টি পরিবার। স্থানীয় আজিজুর রহমান সহ এলাকাবাসী জানান, “কয়েকদিন আগে আমার একটি মেশিন সহ এলাকায় মর্টার ও গরু চুরি হয়েছে, এবার চুরি হলো নৌকা”। চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একালাবাসীর রাতের ঘুম হাড়াম হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী একলাছ মিয়া জানান, যৌথ মালিকানায় কেনা নৌকা দিয়ে কংস নদীর বুকে বালু ও অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করেই চলে জীবন জীবিকা। নৌকাটি চুরির পর থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
নৌকাটি উদ্ধারের জন্য পূর্বধলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। সন্দেহজনক কয়েকজনের নামও দিয়েছি। এব্যাপারে, পূর্বধলা থানার এসআই নাফিউল ইসলাম (তদন্ত কর্মকর্তা) জানান, চুরি যাওয়া নৌকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সন্দেহভাজন কললিস্ট এর আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ধলামুলগাও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজুয়ানুর রহমান রনি জানান, নৌকা চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি।
কংশ নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকায় চুরি, ছিনতাই সহ নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবে এমটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসীর।