নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলা ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি উপজেলা। ১৩ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীন রাস্তাগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,প্রায় প্রতিটি রাস্তার বেহালা দশা! এতে জনগণের ভোগান্তি চরম! গ্রামীন কাঁচা রাস্তাগুলো একটু বৃষ্টির পানিতেই কর্দমাক্ত হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়। সংস্কারের অভাবে অনেক রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। রোয়াইলবাড়ি-বঙ্গবাজার কাঁচা রাস্তাটির দূরাবস্থায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে প্রায়। এছাড়াও রোয়াইলবাড়ি-চিরাং বাজার কাঁচা রাস্তা, পাইকুড়া-মজলিশপুর কাঁচা রাস্তা, বৈরাটি-চিটুয়া নওপাড়া কাঁচা রাস্তা,ভূঁইয়ার বাজার-বেখৈরহাটি কাঁচা রাস্তা, মাসকা-দিগলী কাঁচা রাস্তা, ফেনেরগাতি-খিদিরপুর কাঁচা রাস্তা, চৌকিধরা-চিতোলিয়া কাঁচা রাস্তা, রামপুর বাজার থেকে কৃষ্ণরামপুর বাজার কাঁচা রাস্তা, গগডা বিকাল বাজার থেকে হাওরে বয়ে যাওয়া কাঁচা রাস্তাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উল্লেখ যোগ্য রাস্তা গুলো পাকা করণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকা বাসী দাবি জানিয়ে আসছে।
কেন্দুয়া উপজেলার অনেকগুলো কাঁচা-পাকা রাস্তার বেহাল দশা বিদ্যমান। ফলে জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে। গ্রামীণ এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের, স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা গুলো মেরামত না করার কারণে রাস্তাগুলোতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু পানি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। অনেক রাস্তায় যেন খাল-খন্দকে ভরপুর। কিছু পাকা রাস্তায় দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত না করার কারণে কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক স্থানের। অনেকগুলো গ্রামীণ রাস্তার দুই ধারের পুকুর, খাল-ডোবাগুলোতে পেলাসাইডিং বা গাইড ওয়াল ব্যবস্থা না থাকায় এবং অনেক স্থানে ভেঙ্গে পরেছে। কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ স্থায়ী হাট-বাজার রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং অনেক জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গ্রামীন কাঁচা রাস্তা গুলোর বেহাল দশার ফলে জনজীবনে চরম ভোগান্তি বিদ্যমান।
এ রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলে কেন্দুয়া উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষগুলো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। এ রাস্তাগুলোসহ কেন্দুয়ার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রয়োজনীয় রাস্তাগুলো জনস্বার্থে পাকাকরণ হলে উপজেলার কৃষক,শ্রমিক, ছাত্র -জনতা সকলেই উপকৃত হবে।