নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি ইউনিয়ন ৭ নং মাস্কা ইউনিয়ন।
যুগে যুগে এ ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেছে অনেক বরেণ্য ব্যক্তি । অতীত থেকে মাস্কা ইউনিয়নে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই উপজেলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানেও দিচ্ছেন। কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁঞা। তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মাস্কা ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীকের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। পরিছন্ন রাজনীতিবীদ হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতিতে বিচরণকারী এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁঞা অধিক যোগ্য । মাস্কা ইউনিয়নে আব্দুল কাদির ভূঁঞা নৌকার মনোনয়ন পেলে সিনিয়র হিসেবে মান্য করে অনেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বলেও এলাকায় প্রচার রয়েছে । মাস্কা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মরহুম আব্দুল খালেক ভূঁঞার সুযোগ্য সন্তান মোঃ আব্দুল কাদির ভূঞা। ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি সিনিয়র আইনজীবি, জজ কোর্ট, নেত্রকোনা। শিক্ষাগত জীবনে তিনি এম.এস.এস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এল.এল.বি।
আব্দুল কাদির ভূঞা পারিবারিক জীবনে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। পিতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষা অনুরাগী মরহুম আব্দুল খালেক ভূঞা জীবদ্দশায় আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৬৪ সনে কেন্দুয়া থানার ৭নং মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি রায়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হিসাবে আজীবন দায়িত্ব পালন করেন এবং রায়পুর পিজাহাতি দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ভাইবোনের মধ্যে ০১ ভাই ও ০১ বোন। বড় বোন- রোকেয়া আক্তার (গৃহিনী)
ছোট ভাই- কর্ণেল ডা: মোঃ আব্দুল আউয়াল ভূঞা (অব:)। চিপ সমর্থিত বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির আজীবন সদস্য।
দাম্পত্য জীবনে তিনি ০৩ কন্যা সন্তানের জনক।
১ম কন্যা- সাদিয়া নাসিম বি.এস.সি অনার্স, এম.এস.সি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)স্বামী সন্তানসহ লন্ডন প্রবাসী
২য় কন্যা- ফারহানা নাসিম ঃ বি.এ অনার্স, এম.এ (ইডেন কলেজ) মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা ৩য় কন্যা- ডাঃ দিলশাদ নাসিম এম.বি.বি.এস (স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা) রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক জীবনে এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁঞা ১৯৬৯ ইং সনে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই উ”চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে ৬৯ এর গনঅভ্যূত্থান ও ৭০ এর নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন। ১৯৭১ ইং সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ। ১৯৭২ সনে আঠারবাড়ী ডিগ্রী কলেজ (ঈশ্বরগঞ্জ) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় মহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন। ১৯৮২ ইং সনে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচত হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং ২০০৩ ইং পর্যন্ত পর পর দুইবার কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন । ২০০৪ ইং হতে পর পর দুইবার নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১৯ ইং সন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে ২০২০ ইং সনে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনরত। বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল পদে অধিষ্টিত থেকে দলকে সুসংগঠিত করা এবং ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ এক/ এগারোর, সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ ইতি পূর্বে চারবার কেন্দুয়া-আটপাড়া আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন।
সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডেও এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁঞার রয়েছে অবদান। নিজ গ্রামে অবস্থিত রায়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন।
রায়পুর পিজাহাতী দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে বর্তমানেও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
কেন্দুয়া সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন অনেকদিন।
কেন্দুয়া সম্মিলিত সামাজিক সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়কের দায়িত্ব পালন।
ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দুয়া উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন। ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন কেন্দুয়া ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কেন্দুয়া শহীদ স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন।
কেন্দুয়া প্লেস ক্লাবের ছয়বার নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানেও সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত।
পেশাগত জীবনে তিনি ১৯৮৪ ইং সনে আইনজীবী পেশায় যোগদান করে বর্তমানে একজন সিনিয়র আইনজীবি হিসেবে নেত্রকোনা জজ কোর্টে কর্মরত।
নেত্রকোনা জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন।
নেত্রকোনা জজ কোর্টে বিভিন্ন মেয়াদে এ,পি,পি এবং অতিরিক্ত পি,পি এর দায়িত্ব পালন। আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিততব্য ইউপি নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী। তিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবক হয়ে জনসেবা করতে চান । তিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মাস্কা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।