নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের অটোচালক এলমান হোসেন বাবু হত্যা ঘটনা ২২ দিন পেরি গেলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামী ।
চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনাটি ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা অধরা থাকায় নানান জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে।
নিহত এলমান হোসেন বাবুর পিতা শাহীন মিয়া বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২০ জনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে আটিগ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে শরিফ মিয়া (৩০) কে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই দুপুর ২টার দিকে সাহিতপুর বাজার মোড়ে নিহত এলমান হোসেন বাবুর সাথে মোটরবাইক চালক সুমন ও আরিফের রাস্তায় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথার কাটাকাটি ও হাতা-হাতি হয়।
এরই জেরে কিছুক্ষণ পরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বাবু’র ওপর হামলা চালালে এখলাছ মিয়া ও শফিক ফিরাইতে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালায় তারা। এসময় বাবু ও এখলাছ গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে আহত এখলাছ মিয়ার চিকিৎসা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে। তিনি এখনো আশঙ্কা মুক্ত নয়। এদিকে বাবু’র মৃত্যুর খবরে চেংজানা গ্রামবাসীর মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের আপ্রাণ চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দেন। বর্তমানে সাহিতপুর বাজারে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
পুলিশ আটিগ্রামের রুকন মিয়ার ছেলে সুমনকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করলেও হত্যার মামলার বাকি আসামীরা এখনও অধরা।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি ইমরান হোসেন বাবু হত্যা মামলার সব আসামীদের খোঁজে বের করে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নোমান সাদেক জানান,এজাহার নামীয় ৪নং আসামী সুমন রিমান্ডে রয়েছে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে এবং প্রধান আসামীসহ সকল আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এব্যাপারে কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশানায় খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।