নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া শাখার সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক আরিফ আহমেদের দক্ষতা ও সু কৌশলে উদ্ধার করেন এক নারী চেক জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখা থেকে তুলে নেওয়া ৭ লাখ টাকা। ফিরিয়ে দেন প্রকৃত মালিককে৷ অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে এ টাকা উদ্ধার করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক আরিফ আহমেদ। টাকা উদ্ধার কাজে এলাকার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তা ও তার দক্ষতায় এ কাজ সম্পন্ন করেন। অথচ ময়মনসিংহ সোনলী ব্যাংক জি.এম কার্যালয় থেকে ব্যবস্থাপক আরিফ আহমদকে কেন্দুয়া কার্যালয় থেকে নেত্রকোণা কার্যালয়ে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য কেন্দুয়ার সচেতন মহল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন-টাকা উদ্ধার করে তিনি একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এজন্য উনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু বদলীর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এদিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনটি চেকের মাধ্যমে ছিলিমপুর গ্রামের পারভীন আক্তার নামের এক নারীর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে তার কন্যা সেজে পৌর এলাকার বাদে আঠারবাড়ী মহল্লার আব্দুল লতিফের ছেলে মামুন মিয়ার স্ত্রী পূর্ণতা ইসলাম তুলে নেয়া ৭ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পর থেকেই নিজ বাড়ি থেকে স্বামী সহ পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দুয়া প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঞা বলেন- টাকা উদ্ধার করায় ব্যাংক ম্যানেজার পুরস্কৃত হওয়ার যোগ্য। পুরস্কৃত না হয়ে তিরস্কৃত হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ব্যাংকের অনেক গ্রাহক বলেন, ম্যানেজার আরিফ আহমেদ খুবই ভালো মানুষ। তিনি সব সময় গ্রাহকদের সেবায় সচেষ্ট ও আন্তরিক ছিলেন। এদিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনটি চেকের মাধ্যমে ছিলিমপুর গ্রামের পারভীন আক্তার নামের এক নারীর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে তার কন্যা সেজে পৌর এলাকার বাদে আঠারবাড়ী মহল্লার আব্দুল লতিফের ছেলে মামুন মিয়ার স্ত্রী পূর্ণতা ইসলাম তুলে নেয়া ৭ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পর থেকেই নিজ বাড়ি থেকে স্বামী সহ পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার পূর্ণতা ইসলামের বাড়ির লোকজন পালিয়ে থাকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবার নেত্রকোণা আঞ্চলিক শাখার এজিএম রাস মোহন সাহা কেন্দুয়ায় তদন্তে আসেন। তিনি টাকা উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদকে ধন্যবাদ জানান।
শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদ বলেন, জালিয়াতি করে তুলে নেয়া ৭ লাখ টাকা কৌশলে উদ্ধার করেছি। এটাই আমার বড় সফলতা।
কেন্দুয়ার সচেতন মহলের অনেকেই মত প্রকাশ করে বলেছেন -শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহমেদকে পুরস্কৃত করা উচিত।