রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
আটপাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চুরি, দিশেহারা চালক কেন্দুয়া পৌরসভার কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন নেত্রকোণায় বাউল সম্রাট রশিদ উদ্দিনের ১৩৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “বাউল উৎসব” বাস্তবায়নে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিতে আটপাড়ায় আনন্দ মিছিল নেত্রকোণা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ  নেত্রকোনায় চারু ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন(সিডিএ) শীতবস্ত্র বিতরণ কেন্দুয়ায় সরকারি খাল দখল নিয়ে উত্তেজনার অবসান কেন্দুয়া সরকারি কলেজ সমাচার আটপাড়ায় পিঠা উৎসব: তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়  জিসাস এর নতুন কমিটি গঠন

নেত্রকোনায় বন্যার কারণে ১৮৬টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা

সিনিয়র রিপোর্টার এ কে এম আব্দুল্লাহ্
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

 

গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টি আর ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার চারটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়ার কারণে ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নেত্রকোনা জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইমদাদুল হক জানান, বন্যার কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্গাপুরে ৬২টি, কলমাকান্দা ৯৩টি, পূর্বধলা ১১টি ও নেত্রকোনা সদরে ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার সোমেশ্বরী, উব্দাখালী, কংশ, ও ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কংশ নদের পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং উব্দাখালি নদীর পানি বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পূর্বধলার নাটেরকোণার প্রায় ৭ কিলোমিটার বেরী বাঁধ। ইতিমধ্যে বাঁধের অনেকাংশই পানি ছুঁই ছুঁই করছে। স্থানীয়রা বালির বস্তা ও মাটি ফেলে কোন রকমের বাঁধটি টিকিয়ে রাথার চেষ্টা করছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়দের পাশাপাশি আনসার সদস্যাও অংশ নেয়। বাঁধ ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে পুরো পূর্বধলা উপজেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, নেত্রকোনা তিন দিনে সর্বোচ্চ পরিমান বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। গত ৩ দিনে ৭৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ সব আশ্রয় কেন্দ্রে ১১৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দুর্গত ১ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল শিশু খাদ্য ও গো খাদ্যের জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin