নেত্রকোনার মদন উপজেলায় সুমন (৩৫)নামের এক যুবক দীর্ঘ ৭ মাস পর চট্টগ্রাম থেকে লাশ হয়ে ফিরতে হল গ্রামের বাড়িতে।
জানা যায়, মৃত সুমন মিয়া নায়েকপুর ইউনিয়নের বাঁশরী গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়ার ছেলে । কাজের সুবাদে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ৭ মাস পূর্বে চট্টগ্রাম শহরে বন্দর থানার মিজানের কলোনিতে ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতো।
গত ১৩ ই নভেম্বর শনিবার রাত ১০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা থানা সাগর পাড়ের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রমিক সুমনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ জনগণ ৯৯৯ কল করলে বন্দর থানার এসআই আমিনুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত সুমনের লাশ থানায় নিয়ে আসে ।
মৃত সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী পপি আক্তার স্বামীর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া এবং থানায় কোন অজ্ঞাত নামা মামলা ছাড়া স্বামীর লাশ নিয়ে আসে বাঁশরী গ্রামে ।
মৃত সুমনের মৃত্যু রোড এক্সিডেন্টে হয়েছে এমন কথা স্বজনদের ও এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ জাগলে মদন থানা কে অবগত করলে মদন থানার প্রশাসনের সহায়তায় মৃত সুমনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে আজ ১৫ নভেম্বর।
মৃতের ভাই সুজন মিয়া বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যু রোড এক্সিডেন্টে না মৃত্যু রহস্যজনক । আমার ভাইয়ের প্রথম স্ত্রী ডেলিভারির সময় বড় ভাবি মারা যাওয়ায় তারই ছোট বোন পপি আক্তার( ২৫) কে ৭ মাস পূর্বে বিবাহ করে চট্টগ্রামে চলে যায়।
ঐখানে একটি কোম্পানিতে আমার বড় ভাবী মালা আক্তার চাকরি করতো ,ভাবির মৃত্যুর পর কোম্পানি এককালীন ২ লক্ষ টাকা দিয়েছে , এই টাকা নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর সংসারে ঝগড়া এই টাকা নিয়ে আমার ভাই মৃত্যু হতে পারে।
আমার ভাইয়ের লাশ ময়না তদন্ত করে মাটি দেওয়ার দাবি জানাই।
মৃত সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী পপি আক্তার বলেন, গত ১৩ নভেম্বর সকাল ৮ ঘটিকার সময় বাসা থেকে খাবার খেয়ে বের হয়ে যায় , রাতে বাসায় না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পাওয়ায় পরেরদিন শুনতে পারি তার লাশ বন্দর থানায় আছে ওখান থেকে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
এ বিষয়ে মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, স্বজনদের দাবি লাশ ময়নাতদন্ত করে দাফন সম্পন্ন করবে ,তাই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।